ভারতে গরুর মাংস খাওয়ার অজুহাতে ক্ষমতাসীন দলের পাণ্ডাদের বর্বরতা দিন দিন নতুন মাত্রা পাচ্ছে। হারিয়ানার মুসলিম অধ্যুষিত জেলা মেওয়াটে এবার গরুর মাংস খেয়েছে সন্দেহে একদল ধর্মীয় উগ্রবাদী এক নারী (২০) ও তার তার চাচাতো বোনকে গণধর্ষণ করেছে। এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন রোববার প্রকাশ করেছে এনডিটিভি।
ভারতে গরুর মাংস খাওয়ার অজুহাতে ক্ষমতাসীন দলের পাণ্ডাদের বর্বরতা দিন দিন নতুন মাত্রা পাচ্ছে। হারিয়ানার মুসলিম অধ্যুষিত জেলা মেওয়াটে এবার গরুর মাংস খেয়েছে সন্দেহে একদল ধর্মীয় উগ্রবাদী এক নারী (২০) ও তার তার চাচাতো বোনকে গণধর্ষণ করেছে। এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন রোববার প্রকাশ করেছে এনডিটিভি।
ধর্ষণের পর তারা জানায়, এটা গরুর মাংস খাওয়ার শাস্তি। দিল্লীতে মানবাধিকার কর্মী শবনম হাসমির উপস্থিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ওই দুই নারী তাদের ওপর পাশবিক নির্যাতনের বর্ননা দেন।
তারা জানান, গত ২৪ আগস্ট একদল লোক তাদের বাড়িতে ঢুকে তার চাচা-চাচিকে বেঁধে ফেলে। এরপর তাদের সামনেই দু’বোনকে পালাক্রমে ধর্ষণ করতে থাকে। এ বর্বতার প্রতিবাদ করায় তার চাচা-চাচিকে পিটিয়ে হত্যা করে ধর্ষকের দল। এ ঘটনার পর ওই ধর্মীয় উগ্রবাদীদের ভয়ে মুখ খোলেননি।
পরে দিল্লীতে মানবাধিকার কর্মী শবনম হাসমির সহায়তায় সংবাদ সম্মেলনে তাদের উপর চালানো বর্বরতার বর্ননা দেন। এরপরই পুলিশ তৎপর হয়ে ওই এলাকা থেকে চার বখাটেকে গ্রেফতার করেছে। পরে পুলিশ জানতে পারে আসলে তারা গো-রক্ষক কমিটির কেউ না। এলাকার চিহ্নিত পাণ্ডা তারা।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ধর্ষণের দিন সকালে তারা মদ্যপান করে গোমাংস খাওয়ার মিথ্যা অভিযোগ আরোপ করে ওই বাড়িতে হানা দেয়। গোমাংস খাওয়া হারিয়ানায় সরকারীভাবে নিষিদ্ধ হওয়ায় প্রায়ই সংখ্যালঘুদের উপর মিথ্যা অভিযোগ আরোপ করে ক্ষমতাসীনদের নির্যাতন করতে দেখা যায়।
হারিয়ানা রাজ্য পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, নির্যাতিতারা আগে কোনো অভিযোগ না করায় এতোদিন অপরাধীদের গ্রেফতার করা যায়নি। পুলিশ প্রথমে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আরোপ করে, পরে এলাকাবসীর বিক্ষোভ মিছিল করলে তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা নেয়া হয়।
হারিয়ানায় গরু জবাই, মাংস বিক্রি বা সংরক্ষণ নিষিদ্ধ। এ আইন ভঙ করলে সর্বোচ্চ ১০ বছরের সাজা এবং এক থেকে পাঁচ লাখ রুপি অর্থদণ্ড। এদিকে, কুরবানির ঈদের আগে হারিয়ানার মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা মেওয়াটে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
কথিত বিরিয়ানি পুলিশদের সংগ্রহ করা ৭টি নমুনায় ল্যাবরেটারি টেস্টে গরুর মাংশের অস্তিত্ব পাওয়ায় এ আতংক দেখা দিয়েছে।
ধর্ষণের পর তারা জানায়, এটা গরুর মাংস খাওয়ার শাস্তি। দিল্লীতে মানবাধিকার কর্মী শবনম হাসমির উপস্থিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ওই দুই নারী তাদের ওপর পাশবিক নির্যাতনের বর্ননা দেন।
তারা জানান, গত ২৪ আগস্ট একদল লোক তাদের বাড়িতে ঢুকে তার চাচা-চাচিকে বেঁধে ফেলে। এরপর তাদের সামনেই দু’বোনকে পালাক্রমে ধর্ষণ করতে থাকে। এ বর্বতার প্রতিবাদ করায় তার চাচা-চাচিকে পিটিয়ে হত্যা করে ধর্ষকের দল। এ ঘটনার পর ওই ধর্মীয় উগ্রবাদীদের ভয়ে মুখ খোলেননি।
পরে দিল্লীতে মানবাধিকার কর্মী শবনম হাসমির সহায়তায় সংবাদ সম্মেলনে তাদের উপর চালানো বর্বরতার বর্ননা দেন। এরপরই পুলিশ তৎপর হয়ে ওই এলাকা থেকে চার বখাটেকে গ্রেফতার করেছে। পরে পুলিশ জানতে পারে আসলে তারা গো-রক্ষক কমিটির কেউ না। এলাকার চিহ্নিত পাণ্ডা তারা।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ধর্ষণের দিন সকালে তারা মদ্যপান করে গোমাংস খাওয়ার মিথ্যা অভিযোগ আরোপ করে ওই বাড়িতে হানা দেয়। গোমাংস খাওয়া হারিয়ানায় সরকারীভাবে নিষিদ্ধ হওয়ায় প্রায়ই সংখ্যালঘুদের উপর মিথ্যা অভিযোগ আরোপ করে ক্ষমতাসীনদের নির্যাতন করতে দেখা যায়।
হারিয়ানা রাজ্য পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, নির্যাতিতারা আগে কোনো অভিযোগ না করায় এতোদিন অপরাধীদের গ্রেফতার করা যায়নি। পুলিশ প্রথমে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আরোপ করে, পরে এলাকাবসীর বিক্ষোভ মিছিল করলে তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা নেয়া হয়।
হারিয়ানায় গরু জবাই, মাংস বিক্রি বা সংরক্ষণ নিষিদ্ধ। এ আইন ভঙ করলে সর্বোচ্চ ১০ বছরের সাজা এবং এক থেকে পাঁচ লাখ রুপি অর্থদণ্ড। এদিকে, কুরবানির ঈদের আগে হারিয়ানার মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা মেওয়াটে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
কথিত বিরিয়ানি পুলিশদের সংগ্রহ করা ৭টি নমুনায় ল্যাবরেটারি টেস্টে গরুর মাংশের অস্তিত্ব পাওয়ায় এ আতংক দেখা দিয়েছে।
পাঠকের মতামত